Ads

Stock Market Introduction To IPOs | শেয়ার বাজারে আইপিও পরিচিতি | IPO কি ?

Stock Market Introduction To IPOs  শেয়ার বাজারে আইপিও পরিচিতি  IPO কি
IPO কি ? 

আইপিও (IPO) কী?

IPO বা Initial Public Offering হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি কোম্পানি প্রথমবারের মতো জনসাধারণের কাছে তার শেয়ার বিক্রির জন্য পুঁজিবাজারে আসে। এটি কোম্পানিকে মূলধন সংগ্রহে সহায়তা করে, যা ব্যবসা সম্প্রসারণ বা অন্যান্য উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।

কেন একটি কোম্পানি আইপিও চালু করে?
  • মুলধন সংগ্রহঃ ব্যবসার সম্প্রসারণ, ঋণ পরিশোধ, বা নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য।
  • বাজারে উপস্থিতি বাড়ানোঃ একটি আইপিও কোম্পানির পরিচিতি বাড়ায় এবং তা বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
  • নগদীকরণ সুযোগঃ প্রাথমিক বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের আংশিক বা পুরো অংশ নগদ করতে পারে।
আইপিও-তে বিনিয়োগ করার সুবিধাঃ- 
  • উচ্চ রিটার্নের সম্ভাবনাঃ নতুন শেয়ার কেনার সুযোগ, যা ভবিষ্যতে উচ্চ মুনাফা দিতে পারে।
  • কোম্পানির অংশীদার হওয়ার সুযোগঃ আইপিও-তে শেয়ার কেনার মাধ্যমে বিনিয়োগকারী কোম্পানির আংশিক মালিক হয়ে যায়।
  • বাজার প্রবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথঃ নতুন এবং উদীয়মান কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগের সুযোগ।
কিভাবে আইপিও-তে বিনিয়োগ করবেন?
  • একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
  • সেবি (SEBI)-র অনুমোদিত ব্রোকারের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
  • নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে বা অফলাইনে আবেদন জমা দিতে হবে।
  • কোম্পানির পক্ষ থেকে শেয়ার বরাদ্দ হলে তা আপনার ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
ভারতের বাজারে সাম্প্রতিক আইপিও গুলোর চাহিদাঃ- 
ভারতের শেয়ার বাজারে গত কয়েক বছরে আইপিও-তে বিনিয়োগের আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষত প্রযুক্তি এবং ফিনটেক কোম্পানিগুলোর আইপিও বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করছে। যেমন Zomato, Nykaa, এবং Paytm-এর মতো কোম্পানিগুলো সফলভাবে তাদের আইপিও চালু করেছে।

মনে রাখার বিষয়ঃ- 
  • আইপিও-তে বিনিয়োগ করার আগে কোম্পানির RHP (Red Herring Prospectus) ভালোভাবে পড়ুন।
  • বাজারের ঝুঁকি এবং বর্তমান অবস্থান বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।
  • দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীরা আইপিও-তে সাধারণত ভালো ফল পেতে পারেন।
ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে আইপিও বিনিয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। সঠিক গবেষণা এবং পরিকল্পনা নিয়ে বিনিয়োগ করলে তা ভবিষ্যতে মুনাফা দিতে পারে।

আইপিও (IPO) কী?

আইপিও বা ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং হলো একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি প্রাইভেট কোম্পানি প্রথমবারের মতো জনসাধারণের কাছে তার শেয়ার বিক্রির জন্য পুঁজিবাজারে আসে। এটি কোম্পানিকে মূলধন সংগ্রহ করতে সাহায্য করে এবং এর মাধ্যমে কোম্পানি একটি পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়।

আইপিও-র মূল বৈশিষ্ট্যঃ- 
  • প্রথম শেয়ার বিক্রয়ঃ এটি একটি কোম্পানির প্রথমবারের মতো শেয়ার বাজারে প্রবেশ।
  • মূলধন সংগ্রহঃ কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণ, ঋণ পরিশোধ, বা নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে।
  • নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনঃ আইপিও চালু করার আগে সেবি (SEBI)-র মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন।
আইপিও-তে বিনিয়োগের সুযোগঃ- 
আইপিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগের সুযোগ প্রদান করে। যেসব বিনিয়োগকারী নতুন এবং উদীয়মান কোম্পানির অংশীদার হতে চান, তারা আইপিও-র মাধ্যমে শেয়ার কিনতে পারেন। ভবিষ্যতে শেয়ারের দাম বাড়লে তারা মুনাফা অর্জন করতে পারেন।

আইপিও-তে বিনিয়োগ করার আগে বাজার বিশ্লেষণ এবং কোম্পানির আর্থিক তথ্য ভালোভাবে যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ।

পাবলিক অফারের ধরনসমূহ? 

পাবলিক অফার বা জনসাধারণের কাছে শেয়ার বিক্রয়ের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোম্পানিগুলি মূলধন সংগ্রহ করে। এটি বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যা কোম্পানির উদ্দেশ্য এবং বাজারের চাহিদার উপর নির্ভর করে। নিচে পাবলিক অফারের বিভিন্ন প্রকার বর্ণনা করা হলোঃ- 

ইনিশিয়াল পাবলিক অফার (IPO): 
এটি সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি কোম্পানি প্রথমবারের মতো শেয়ার বাজারে তার শেয়ার অফার করে।

বৈশিষ্ট্যঃ- 
  • একটি প্রাইভেট কোম্পানি পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়।
  • ব্যবসা সম্প্রসারণ বা ঋণ পরিশোধের জন্য মূলধন সংগ্রহ করা হয়।
  • উদাহরণঃ Zomato, Nykaa-এর IPO।
ফলো-অন পাবলিক অফার (FPO):
এটি সেই প্রক্রিয়া যেখানে একটি কোম্পানি, যা ইতোমধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত, আরও শেয়ার ইস্যু করে।

বৈশিষ্ট্যঃ
  • মূলধন বাড়ানোর জন্য কোম্পানি নতুন শেয়ার ইস্যু করে।
  • সাধারণত ব্যবসার সম্প্রসারণ বা আর্থিক স্থিতি বজায় রাখার জন্য।
  • উদাহরণঃ TCS-এর মতো কোম্পানি ফলো-অন অফার ইস্যু করে।
রাইটস ইস্যু (Rights Issue):
এই প্রক্রিয়ায় কোম্পানি তার বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের নতুন শেয়ার কেনার বিশেষ সুযোগ দেয়।

বৈশিষ্ট্যঃ- 
  • শেয়ারহোল্ডারদের জন্য একচেটিয়া।
  • নির্দিষ্ট অনুপাতে নতুন শেয়ার কেনার অধিকার দেয়।
  • উদাহরণঃ যদি আপনার কাছে ১০ শেয়ার থাকে এবং কোম্পানি ১:১ রাইটস ইস্যু দেয়, তবে আপনি আরও ১০ শেয়ার কিনতে পারবেন।
প্রেফারেন্সিয়াল ইস্যু (Preferential Issue):
এটি সেই প্রক্রিয়া যেখানে কোম্পানি নির্দিষ্ট বিনিয়োগকারী বা গোষ্ঠীকে শেয়ার ইস্যু করে।

বৈশিষ্ট্যঃ- 
  • দ্রুত মূলধন সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • সাধারণত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য।
ওফস (Offer for Sale):
পাবলিক অফারের মাধ্যমে একটি কোম্পানির প্রোমোটার বা বড় বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ার বিক্রি করে।

বৈশিষ্ট্যঃ- 
  • কোম্পানির নতুন শেয়ার ইস্যু হয় না।
  • বিদ্যমান শেয়ারের মালিকানা পরিবর্তন হয়।
  • উদাহরণঃ সরকার তার মালিকানাধীন কোম্পানিগুলিতে শেয়ার বিক্রির জন্য ওএফএস ব্যবহার করে।
প্রাথমিক বাজার (Primary Market) বনাম গৌণ বাজার (Secondary Market):
  • প্রাথমিক বাজারঃ- যেখানে নতুন শেয়ার ইস্যু করা হয় (যেমন IPO, FPO)।
  • গৌণ বাজারঃ- যেখানে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার একে অপরের মধ্যে কেনাবেচা করে।
মনে রাখার বিষয়ঃ- 
  • প্রতিটি পাবলিক অফারের উদ্দেশ্য এবং ঝুঁকি আলাদা।
  • বিনিয়োগের আগে কোম্পানির আর্থিক অবস্থা এবং বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
এগুলো ভারতের শেয়ার বাজারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করে।

শেয়ার বাজারে আইপিও চালু করার যোগ্যতা? 

কোনো কোম্পানি আইপিও (Initial Public Offering) চালু করতে চাইলে তাকে সেবি (SEBI - Securities and Exchange Board of India) এবং স্টক এক্সচেঞ্জের নির্ধারিত কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। নিচে ভারতের শেয়ার বাজারে আইপিও চালুর জন্য যোগ্যতার প্রধান শর্তগুলো তুলে ধরা হলোঃ- 

কোম্পানির ন্যূনতম নেট সম্পদ (Net Worth):
  • কোম্পানির গত তিন বছরের মধ্যে ন্যূনতম ₹১ কোটি টাকার নেট সম্পদ থাকতে হবে।
  • এর মধ্যে কমপক্ষে ৫০% সম্পদ ট্যাঙ্গিবল (স্পর্শযোগ্য) হওয়া আবশ্যক।
লভ্যাংশের রেকর্ড (Profitability Record):
  • গত তিন আর্থিক বছরে কোম্পানির ন্যূনতম ₹১৫ কোটি টাকার সম্মিলিত লভ্যাংশ থাকতে হবে।
  • অন্তত দুটি বছর কোম্পানিকে লাভজনক হতে হবে।
ন্যূনতম পেইড-আপ শেয়ার ক্যাপিটালঃ
  • আইপিও-র পরে কোম্পানির ন্যূনতম পেইড-আপ শেয়ার ক্যাপিটাল ₹১০ কোটি হতে হবে।
ন্যূনতম আইপিও সাইজ (IPO Size):
  • আইপিও-র মাধ্যমে কোম্পানিকে ন্যূনতম ₹১০ কোটি সংগ্রহ করতে হবে।
কর্পোরেট গভার্নেন্স মেনে চলাঃ
  • কোম্পানিকে কর্পোরেট গভার্নেন্সের সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে, যেমন স্বাধীন ডিরেক্টরদের নিয়োগ।
ন্যূনতম শেয়ারহোল্ডিংঃ
  • কোম্পানির প্রোমোটারদের শেয়ারহোল্ডিং আইপিও চালুর আগে এবং পরে স্টক এক্সচেঞ্জের নিয়ম অনুযায়ী হতে হবে।
  • প্রোমোটারদের শেয়ারের ২০% তালিকাভুক্তির পরে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লক-ইন থাকে।
অন্যান্য নিয়ম:
  • সেবি অনুমোদনঃ আইপিও চালুর আগে সেবি-র কাছে একটি ড্রাফ্ট প্রস্পেক্টাস জমা দিতে হয়।
  • রেড হেরিং প্রস্পেক্টাস (RHP): আইপিও চালুর সময় বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানির আর্থিক এবং কার্যকরী বিবরণ প্রদান করতে হবে।
  • নির্দিষ্ট সময়সীমাঃ সমস্ত শর্ত পূরণের পরে নির্ধারিত সময়ে আইপিও চালু করতে হবে।
ছোট কোম্পানির জন্য বিশেষ নিয়ম (SME IPO):
যেসব ছোট এবং মাঝারি কোম্পানি (SME) স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে চায়, তাদের জন্য কিছু সহজ শর্ত রয়েছে।কোম্পানির ন্যূনতম পোস্ট-ইস্যু পেইড-আপ ক্যাপিটাল ₹১ কোটি হতে হবে।
গত দুই বছরের মধ্যে ব্যবসার কার্যক্রম চালু থাকতে হবে।

ভারতের শেয়ার বাজারে আইপিওর (Initial Public Offering) উদ্দেশ্য? 

একটি কোম্পানি যখন আইপিও চালু করে, তখন এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো মূলধন সংগ্রহ এবং কোম্পানির সামগ্রিক বৃদ্ধি। নিচে আইপিও চালুর বিভিন্ন উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হলোঃ- 

ব্যবসা সম্প্রসারণঃ
আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল কোম্পানি তার ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করে।
  • নতুন প্ল্যান্ট বা কারখানা স্থাপন।
  • নতুন বাজারে প্রবেশ।
  • উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
ঋণ পরিশোধঃ
  • কোম্পানি আইপিও থেকে প্রাপ্ত তহবিল ব্যবহার করে তার ঋণ বা দায় পরিশোধ করতে পারে।
  • এটি কোম্পানির আর্থিক ভারসাম্য উন্নত করে এবং পরিচালনায় স্থিতিশীলতা আনে।
গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D):
  • আইপিও থেকে প্রাপ্ত তহবিল নতুন পণ্য বা প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়।
  • উদ্ভাবন এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
পাবলিক কোম্পানি হওয়া (Going Public):
  • আইপিও চালুর মাধ্যমে একটি প্রাইভেট কোম্পানি পাবলিক কোম্পানিতে পরিণত হয়।
  • এটি কোম্পানির পরিচিতি বাড়ায় এবং ব্র্যান্ড ভ্যালু উন্নত করে।
নগদীকরণ (Liquidity Creation):
  • প্রোমোটার এবং প্রাথমিক বিনিয়োগকারীরা (যেমন ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট) তাদের বিনিয়োগের একটি অংশ বা সম্পূর্ণ অংশ নগদ করতে পারে।
  • এটি তাদের জন্য একটি এক্সিট স্ট্র্যাটেজি তৈরি করে।
বাজারে বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধিঃ
  • আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানি একটি বৃহত্তর বিনিয়োগকারী ভিত্তি পায়, যা তার আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতি আস্থা বাড়ায়।
  • এটি পরবর্তী সময়ে সহজে তহবিল সংগ্রহে সহায়ক হয়।
কর্পোরেট গভার্নেন্স উন্নত করাঃ
  • পাবলিক কোম্পানিগুলিকে সেবি (SEBI) এবং স্টক এক্সচেঞ্জের নিয়ম মেনে চলতে হয়।
  • এটি কোম্পানির স্বচ্ছতা ও গভার্নেন্স উন্নত করে।
কোম্পানির শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্তি (Listing on Stock Exchange):
  • আইপিও চালুর পরে কোম্পানি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়।
  • এর মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডাররা শেয়ার কেনা-বেচার সুযোগ পান।
ভবিষ্যতের তহবিল সংগ্রহের সুযোগ তৈরিঃ
  • আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানি ভবিষ্যতে আরও সহজে তহবিল সংগ্রহ করতে পারে, যেমন ফলো-অন পাবলিক অফার (FPO) বা ডিবেঞ্চার ইস্যু।

ভারতের শেয়ার বাজারে আইপিও চালু করার প্রক্রিয়া? 

কোনো কোম্পানি যখন শেয়ার বাজারে প্রথমবারের মতো শেয়ার ইস্যু করে এবং পাবলিক কোম্পানিতে পরিণত হয়, তখন তাকে আইপিও (Initial Public Offering) প্রক্রিয়া বলা হয়। এই প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়। নিচে ভারতের শেয়ার বাজারে আইপিও চালুর প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করা হলোঃ- 

কোম্পানির প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনাঃ- 
  • উদ্দেশ্য নির্ধারণঃ কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ, ঋণ পরিশোধ বা মূলধন সংগ্রহের জন্য আইপিওর উদ্দেশ্য স্পষ্ট করতে হবে।
  • ফাইন্যান্সিয়াল অডিটঃ  কোম্পানির আর্থিক বিবরণ এবং বইপত্র সম্পূর্ণ সঠিক এবং স্বচ্ছ থাকতে হবে।
  • IPO টিম গঠনঃ ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার (মার্চেন্ট ব্যাঙ্কার): আইপিও প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য নিয়োগ করা হয়।
  • লিগাল অ্যাডভাইজারঃ সেবি (SEBI) এবং স্টক এক্সচেঞ্জের নিয়ম মেনে কাজ নিশ্চিত করে।
  • অডিটর এবং রেজিস্ট্রারঃ শেয়ারহোল্ডিং পরিচালনা করে।
সেবি (SEBI)-র কাছে ড্রাফ্ট প্রস্পেক্টাস জমা দেওয়াঃ- 

ড্রাফ্ট রেড হেরিং প্রস্পেক্টাস (DRHP):
  • কোম্পানির আর্থিক তথ্য, ব্যবসার বিবরণ, ঝুঁকি এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সহ একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়।
  • SEBI এই ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করে এবং প্রয়োজন হলে সংশোধনের নির্দেশ দেয়।
অনুমোদন প্রাপ্তিঃ 
  • SEBI অনুমোদন দিলে কোম্পানি আইপিও চালুর জন্য প্রস্তুত হয়।
  • অনুমোদনের পরে DRHP-কে RHP (Red Herring Prospectus) নামে প্রকাশ করা হয়, যা বিনিয়োগকারীদের তথ্য প্রদান করে।
শেয়ার ইস্যুর দাম নির্ধারণঃ- 

বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়াঃ 
  • প্রাথমিক দাম নির্ধারণ করা হয় এবং বিনিয়োগকারীরা সেই দামের মধ্যে শেয়ার কেনার বিড করে।
  • এটি একটি নমনীয় প্রক্রিয়া যেখানে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দাম নির্ধারিত হয়।
ফিক্সড প্রাইস মেথডঃ 
  • নির্দিষ্ট একটি দামেই শেয়ার ইস্যু করা হয়।
আইপিওর প্রচার এবং মার্কেটিংঃ- 

রোডশোঃ 
  • কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট বিভিন্ন শহরে গিয়ে বিনিয়োগকারীদের সাথে যোগাযোগ করে।
  • এটি কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ায় এবং বিনিয়োগ আকর্ষণ করে।
বিজ্ঞাপনঃ 
  • সংবাদপত্র, টেলিভিশন এবং ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার চালানো হয়।
আবেদন গ্রহণ এবং বরাদ্দ প্রক্রিয়াঃ-

আবেদন জমাঃ
  • বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময়ে শেয়ার কেনার জন্য আবেদন করে।
  • ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইনে বা অফলাইনে আবেদন করা যায়।
শেয়ার বরাদ্দঃ
  • আবেদন প্রক্রিয়া শেষে শেয়ার বরাদ্দ করা হয়।
  • অতিরিক্ত আবেদন হলে লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ করা হয়।
শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্তি (Listing on Stock Exchange): 
  • আইপিও সম্পন্ন হওয়ার পরে শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করা হয়।
  • তালিকাভুক্তির দিনে শেয়ার ট্রেডিং শুরু হয়, এবং তার দাম বাজারের চাহিদা অনুযায়ী বাড়ে বা কমে।
পরবর্তী কার্যক্রমঃ 
  • কোম্পানি তার শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত রিপোর্ট প্রদান করে এবং স্টক এক্সচেঞ্জের নিয়ম মেনে চলে।
  • ভবিষ্যতে মূলধন সংগ্রহের জন্য ফলো-অন পাবলিক অফার (FPO) বা অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করতে পারে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Section