Ads

Stock Market IPOs Lifecycle | শেয়ার বাজার | একটি IPO এর জীবনচক্র কি?

ভারতীয় শেয়ার বাজারে IPO (Initial Public Offering) বা প্রাথমিক শেয়ার ইস্যুর জীবনচক্র নিম্নরূপে চলে থাকে। এটি বিভিন্ন ধাপে বিভক্ত, যা একটি কোম্পানিকে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হতে সাহায্য করে।
Stock Market IPOs Lifecycle
প্রাথমিক পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি (Planning and Preparation)?

  • কোম্পানি IPO করার সিদ্ধান্ত নেয় তার ব্যবসা সম্প্রসারণ বা নতুন প্রকল্পের জন্য মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে।
  • বিনিয়োগ ব্যাংক এবং সেবি (SEBI - Securities and Exchange Board of India)-এর নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়।
  • ড্রাফ্ট রেড হেরিং প্রসপেক্টাস (DRHP) তৈরি করা হয়, যেখানে কোম্পানির আর্থিক তথ্য, ব্যবসায়িক মডেল এবং ঝুঁকির বিবরণ দেওয়া থাকে।
SEBI এবং স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন (Approval Process):
  • DRHP জমা দেওয়ার পরে, SEBI এটি পর্যালোচনা করে।
  • স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টিংয়ের জন্য আবেদন করা হয়।
  • অনুমোদন পাওয়ার পর, কোম্পানি তার IPO শুরুর দিন এবং প্রাইস ব্যান্ড ঘোষণা করে।
বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়া (Book Building Process):
  • প্রাইস ব্যান্ডের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের জন্য বিড করেন।
  • এই পর্যায়ে ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টর, রিটেল ইনভেস্টর, এবং উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তি (HNI) তাদের আবেদন করেন।
শেয়ার বরাদ্দ (Share Allotment):
  • IPO শেষে শেয়ারগুলো আবেদনকারীদের মধ্যে বরাদ্দ করা হয়।
  • SEBI-এর নিয়ম অনুযায়ী বরাদ্দ পদ্ধতি চালানো হয়, এবং প্রতিটি বিনিয়োগকারীকে তার বরাদ্দ সম্পর্কে জানানো হয়।
তালিকাভুক্তি (Listing):
  • শেয়ারগুলি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয় (যেমন BSE বা NSE)।
  • প্রথম দিনে শেয়ারের মূল্য বাজার চাহিদা ও সরবরাহের উপর নির্ভর করে ওঠানামা করে।
পরবর্তী পর্যায় (Post-IPO Phase):
  • তালিকাভুক্তির পরে কোম্পানিটি স্টক মার্কেটে পাবলিক কোম্পানি হিসেবে পরিচিত হয়।
  • শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নিয়মিত আর্থিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
এটি ভারতের শেয়ার বাজারে IPO-এর সাধারণ জীবনচক্র।

ভারতীয় শেয়ার বাজারে Pre-IPO Phase? 

ভারতীয় শেয়ার বাজারে Pre-IPO Phase (প্রাক-আইপিও পর্যায়) এমন একটি সময় যা কোনো কোম্পানি শেয়ার বাজারে তার শেয়ার প্রকাশ করার আগের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়াগুলি অন্তর্ভুক্ত করে। এটি IPO (Initial Public Offering)-র জন্য ভিত্তি স্থাপন করে। এই ধাপটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি কোম্পানির ভবিষ্যৎ সফল তালিকাভুক্তির সম্ভাবনা তৈরি করে।

Pre-IPO পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধাপসমূহঃ

ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি (Business Planning):
  • কোম্পানি তার আর্থিক এবং ব্যবসায়িক প্রয়োজন মূল্যায়ন করে।
  • IPO এর মাধ্যমে তোলা হবে এমন মূলধনের পরিমাণ এবং এর ব্যবহারের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়।
  • লক্ষ্য থাকে ব্যবসা সম্প্রসারণ, ঋণ পরিশোধ বা নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ।
আর্থিক পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ (Financial Review & Analysis):
  • কোম্পানির আর্থিক অবস্থা যাচাই করা হয়।
  • গত কয়েক বছরের আয়, মুনাফা, এবং অন্যান্য আর্থিক সূচক বিশ্লেষণ করা হয়।
  • ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী আর্থিক প্রজেকশন তৈরি করা হয়।
ড্রাফ্ট রেড হেরিং প্রসপেক্টাস (DRHP) প্রস্তুতিঃ
  • DRHP একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট যা SEBI-তে জমা দেওয়া হয়।
  • এতে কোম্পানির ব্যবসার বিবরণ, ঝুঁকি, আর্থিক তথ্য, এবং IPO থেকে তোলা অর্থের সম্ভাব্য ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত থাকে।
SEBI-এর নীতিমালা মেনে চলা (Regulatory Compliance):
  • SEBI (Securities and Exchange Board of India)-এর সব নিয়ম এবং নীতিমালা মেনে চলা হয়।
  • কর্পোরেট গভর্নেন্স নিশ্চিত করা হয় এবং সব আইনি দিক পর্যালোচনা করা হয়।
বিনিয়োগ ব্যাংক এবং পরামর্শদাতার সাথে আলোচনা (Engaging Investment Bankers & Advisors):
  • কোম্পানি বিনিয়োগ ব্যাংক বা মার্চেন্ট ব্যাংকার নিয়োগ করে, যারা IPO পরিচালনায় সহায়তা করে।
  • এগুলো শেয়ারের দাম নির্ধারণ এবং বই তৈরিতে সাহায্য করে।
 Pre-IPO বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করাঃ
  • অনেক সময় প্রাক-IPO পর্যায়ে কোম্পানি ইনস্টিটিউশনাল বিনিয়োগকারী বা ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টদের থেকে তহবিল সংগ্রহ করে।
  • এর ফলে কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পায় এবং IPO-এর জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি হয়।
শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ (Valuation):
  • কোম্পানির শেয়ারের মূল্য নির্ধারণে আর্থিক উপদেষ্টা এবং বাজার বিশেষজ্ঞরা কাজ করেন।
  • এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়।
তালিকাভুক্তির জন্য প্রস্তুতি (Preparation for Listing):
  • স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করা হয় (যেমন BSE বা NSE)।
  • শেয়ার হোল্ডিং স্ট্রাকচার নির্ধারণ করা হয়।
Pre-IPO পর্যায়ে এই কার্যক্রমগুলো কোম্পানির IPO সফল করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভারতীয় শেয়ার বাজারে IPO অনুমোদনের প্রক্রিয়া (IPO Approval Process)?

ভারতীয় শেয়ার বাজারে IPO অনুমোদনের প্রক্রিয়া (IPO Approval Process) একটি নিয়ন্ত্রিত এবং কাঠামোবদ্ধ ধাপ যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) এবং সংশ্লিষ্ট স্টক এক্সচেঞ্জের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এই প্রক্রিয়া কোম্পানির আইনি এবং আর্থিক সঠিকতা নিশ্চিত করে এবং বাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করে।

IPO অনুমোদনের ধাপসমূহঃ 

ড্রাফ্ট রেড হেরিং প্রসপেক্টাস (DRHP) জমাঃ
  • কোম্পানি SEBI-তে Draft Red Herring Prospectus (DRHP) জমা দেয়।
  • DRHP-তে কোম্পানির আর্থিক বিবরণ, ঝুঁকি, ব্যবসার ধরণ, এবং IPO থেকে তোলা অর্থের সম্ভাব্য ব্যবহার উল্লেখ থাকে।
  • এটি হলো IPO অনুমোদনের প্রথম ধাপ।
SEBI-এর পর্যালোচনা ও প্রশ্নোত্তরঃ
  • SEBI DRHP পর্যালোচনা করে এবং প্রয়োজন হলে কোম্পানির কাছে তথ্য বা ব্যাখ্যা চায়।
  • SEBI নিশ্চিত করে যে কোম্পানি সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে সরবরাহ করেছে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
  • DRHP-এর মধ্যে থাকা ত্রুটি বা অসম্পূর্ণতা সংশোধনের জন্য কোম্পানিকে সময় দেওয়া হয়।
সংশোধিত প্রসপেক্টাস জমাঃ
  • কোম্পানি SEBI-এর পরামর্শ অনুসারে DRHP সংশোধন করে।
  • এরপর এটি Red Herring Prospectus (RHP) নামে পুনরায় জমা দেওয়া হয়।
  • RHP হলো চূড়ান্ত নথি যা বিনিয়োগকারীদের কাছে IPO সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।
স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদনঃ
  • কোম্পানি তার শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জ (যেমন BSE, NSE)-এ তালিকাভুক্ত করার জন্য আবেদন করে।
  • স্টক এক্সচেঞ্জ কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্য, শেয়ার হোল্ডিং প্যাটার্ন, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় মানদণ্ড যাচাই করে।
SEBI-এর অনুমোদন পত্র (Observation Letter):
  • সমস্ত পর্যালোচনা শেষে, SEBI কোম্পানিকে একটি Observation Letter দেয়।
  • এই চিঠি ইঙ্গিত করে যে কোম্পানি IPO চালু করার জন্য প্রস্তুত এবং অনুমোদিত।
প্রাইস ব্যান্ড এবং ইস্যু তারিখ ঘোষণাঃ
  • অনুমোদন পাওয়ার পর, কোম্পানি তার IPO-এর প্রাইস ব্যান্ড এবং ইস্যুর শুরুর ও শেষ তারিখ ঘোষণা করে।
  • এই তথ্য প্রায়শই বিজ্ঞাপন বা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ার সূচনাঃ
  • প্রাইস ব্যান্ড অনুযায়ী বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের জন্য বিড করেন।
  • বুক বিল্ডিং সম্পন্ন হলে, শেয়ার মূল্য এবং বরাদ্দ চূড়ান্ত হয়।
তালিকাভুক্তি (Listing):
  • সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে, শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয় এবং ট্রেডিং শুরু হয়।
  • গুরুত্বপূর্ণ বিষয়SEBI এবং স্টক এক্সচেঞ্জের কঠোর পর্যালোচনা প্রক্রিয়া IPO-এর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
  • সমস্ত তথ্য প্রকাশ করা এবং নিয়ম মেনে চলা IPO অনুমোদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি কোম্পানির জন্য প্রায় ৬-১২ মাস সময় নিতে পারে।

ভারতীয় শেয়ার বাজারে IPO (Initial Public Offering)? 

ভারতীয় শেয়ার বাজারে IPO (Initial Public Offering) বাজারজাতকরণ বা প্রচার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এটি সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করে এবং তাদের কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করে। IPO সফল করার জন্য সঠিক এবং কার্যকর বিপণন কৌশল অপরিহার্য।

IPO মার্কেটিং প্রক্রিয়ার ধাপসমূহঃ

রোডশো (Roadshow):
  • IPO প্রচারের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কার্যকর পদ্ধতি হলো রোডশো।
  • কোম্পানির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা (CEO, CFO) এবং বিনিয়োগ ব্যাংকাররা দেশের বিভিন্ন শহর এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভ্রমণ করে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেন।
  • কোম্পানির ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, আর্থিক তথ্য, এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা উপস্থাপন করা হয়।
  • এটি মূলত বড় প্রতিষ্ঠিত বিনিয়োগকারী এবং ইনস্টিটিউশনাল বিনিয়োগকারীদের (FII, DII) টার্গেট করে।
বিজ্ঞাপন প্রচার (Advertising Campaigns):
  • IPO-এর প্রচারের জন্য প্রিন্ট মিডিয়া (পত্রিকা), টিভি, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।
  • কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু এবং IPO-এর মূল তথ্য (প্রাইস ব্যান্ড, ইস্যু তারিখ) বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়।
  • কিছু ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো হয়।
প্রাইস ব্যান্ড এবং IPO বিশদ প্রচার (Highlighting Key Details):
  • বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ জাগাতে IPO-এর প্রাইস ব্যান্ড, ইস্যু সাইজ, এবং তারিখ ভালোভাবে প্রচার করা হয়।
  • DRHP ও RHP-এর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা হয়।
ব্রোকারদের সক্রিয় করা (Engaging Brokers):
  • স্থানীয় এবং জাতীয় স্তরের শেয়ার ব্রোকারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
  • ব্রোকাররা তাদের গ্রাহকদের কাছে কোম্পানির তথ্য প্রদান করে এবং তাদের IPO-তে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করে।
  • এটি রিটেল বিনিয়োগকারীদের টার্গেট করার একটি কার্যকর পদ্ধতি।
ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরদের আকর্ষণ (Institutional Investor Engagement):
  • বড় ইনস্টিটিউশনাল বিনিয়োগকারীদের (যেমন মিউচুয়াল ফান্ড, পেনশন ফান্ড, FIIs) টার্গেট করা হয়।
  • তাদের জন্য পৃথক উপস্থাপনা এবং আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল মার্কেটিং (Social Media & Digital Marketing):
  • সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন Facebook, Twitter, LinkedIn এবং YouTube ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো হয়।
  • SEO এবং ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোম্পানির ওয়েবসাইটে ভিজিটর আকৃষ্ট করা হয়।
  • অনলাইন ওয়েবিনার ও ইভেন্টের আয়োজন করে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করা হয়।
বিশ্লেষণ ও গবেষণা রিপোর্ট (Analyst & Research Reports):
  • নামী গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বাজার বিশ্লেষকদের মাধ্যমে IPO সম্পর্কিত ইতিবাচক পর্যালোচনা প্রকাশ করা হয়।
  • এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বাড়াতে সাহায্য করে।
সংবাদমাধ্যমে কভারেজ (Media Coverage):
  • IPO সম্পর্কিত সংবাদ এবং প্রেস রিলিজ বিভিন্ন মিডিয়া চ্যানেলে প্রকাশিত হয়।
  • পত্রিকা, টিভি চ্যানেল এবং অর্থনৈতিক ম্যাগাজিনে প্রচারণা চালানো হয়।
বিনিয়োগকারীদের ইভেন্ট (Investor Meets):
  • স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ ইভেন্ট বা সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
  • এতে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানি সম্পর্কে সরাসরি প্রশ্ন করতে পারেন।
বিশেষ প্রণোদনা (Incentives for Early Investors:
  • কিছু ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ ছাড় বা প্রণোদনা দেওয়া হয়।
  • এটি সাধারণত রিটেল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ানোর জন্য করা হয়।
  • IPO মার্কেটিংয়ের উদ্দেশ্যকোম্পানির ব্র্যান্ড তৈরি করা।
  • বাজারে কোম্পানির বিশ্বাসযোগ্যতা এবং আগ্রহ বাড়ানো।
  • সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের ইচ্ছা জাগানো।
IPO মার্কেটিংয়ের সঠিক কৌশল একটি সফল তালিকাভুক্তি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভারতীয় শেয়ার বাজারে বিডিং এবং বরাদ্দ প্রক্রিয়া (Bidding and Allotment Process)? 

ভারতীয় শেয়ার বাজারে বিডিং এবং বরাদ্দ প্রক্রিয়া (Bidding and Allotment Process) IPO (Initial Public Offering)-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের জন্য আবেদন করেন এবং পরে তাদের শেয়ার বরাদ্দ করা হয়। এটি সাধারণত বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়া (Book Building Process)-এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

বিডিং প্রক্রিয়া (Bidding Process):

প্রাইস ব্যান্ড ঘোষণাঃ
  • IPO চালু হওয়ার আগে, কোম্পানি একটি প্রাইস ব্যান্ড নির্ধারণ করে।
  • উদাহরণস্বরূপ, যদি প্রাইস ব্যান্ড ₹১০০-₹১২০ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা এই সীমার মধ্যে বিড করতে পারবেন।
IPO আবেদন জমাঃ
  • বিনিয়োগকারীরা তাদের পছন্দের প্রাইস এবং শেয়ারের পরিমাণ উল্লেখ করে আবেদন করেন।
  • এই আবেদনগুলো ASBA (Application Supported by Blocked Amount) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ সংরক্ষণ করে জমা দেওয়া হয়।
  • আবেদন করা যায়:রিটেল বিনিয়োগকারী (₹২ লক্ষ পর্যন্ত)
  • উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তি (HNI) (₹২ লক্ষের বেশি)
  • প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী (Institutional Investors)।
বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়াঃ
  • বিনিয়োগকারীদের বিড অনুযায়ী একটি বই তৈরি করা হয়।
  • বইটি বিশ্লেষণ করে সর্বোচ্চ চাহিদার উপর ভিত্তি করে কাট-অফ মূল্য (Cut-off Price) নির্ধারণ করা হয়।
বিডিং সময়সীমাঃ
  • IPO সাধারণত ৩-৫ দিনের জন্য খোলা থাকে।
  • এই সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা বিড জমা করতে পারেন।
  • বরাদ্দ প্রক্রিয়া (Allotment Process):
শেয়ার বরাদ্দ নীতিঃ
  • SEBI-এর নিয়ম অনুসারে, শেয়ার বরাদ্দ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং ন্যায্য হওয়া বাধ্যতামূলক।
  • বরাদ্দের জন্য বিভিন্ন বিনিয়োগকারী শ্রেণির জন্য পৃথক কোটা নির্ধারণ করা হয়:QIB (Qualified Institutional Buyers): ৫০%
  • NII (Non-Institutional Investors): ১৫%
  • রিটেল বিনিয়োগকারী: ৩৫%।
বরাদ্দ প্রক্রিয়াঃ
  • রিটেল বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দ করা হয়, যদি আবেদনকারীর সংখ্যা উপলব্ধ শেয়ারের চেয়ে বেশি হয়।
  • যারা কাট-অফ প্রাইসে বিড করেন, তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
ওভারসাবস্ক্রিপশন পরিচালনাঃ
  • যদি শেয়ারের চাহিদা সরবরাহের চেয়ে বেশি হয়, তবে এটি ওভারসাবস্ক্রিপশন বলে।
  • ওভারসাবস্ক্রিপশন হলে,রিটেল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ করা হয়।
  • HNI এবং QIB শ্রেণির জন্য প্রো-রাটা ভিত্তিতে বরাদ্দ করা হয়।
বরাদ্দ পত্র ও রিফান্ডঃ
  • সফল আবেদনকারীরা শেয়ার বরাদ্দ পত্র (Allotment Letter) পান।
  • যারা শেয়ার বরাদ্দ পাননি, তাদের আবেদন করা অর্থ ASBA প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্তি দেওয়া হয়।
শেয়ার ক্রেডিট ও তালিকাভুক্তিঃ
  • বরাদ্দকৃত শেয়ার আবেদনকারীদের ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়।
  • এরপর শেয়ার বাজারে শেয়ারের তালিকাভুক্তি (Listing) করা হয় এবং সেগুলি বাজারে ট্রেডিংয়ের জন্য উপলব্ধ হয়।
  • বিডিং এবং বরাদ্দ প্রক্রিয়ার সময়কালIPO বন্ধ হওয়ার পর সাধারণত ৭-১০ দিনের মধ্যে বরাদ্দ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
  • গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কাট-অফ প্রাইস-এ আবেদন করলে বরাদ্দ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
  • লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ পদ্ধতি রিটেল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সমান সুযোগ দেয়।
  • SEBI-এর কঠোর নিয়ম এই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
বিডিং এবং বরাদ্দ প্রক্রিয়াটি বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার কেনার একটি নির্ভরযোগ্য উপায় এবং IPO-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Section