WAN এর বৈশিষ্ট্যঃ
- বৃহৎ এলাকা জুড়ে সংযোগঃ এটি বিভিন্ন দূরবর্তী অবস্থানে থাকা ডিভাইস ও নেটওয়ার্কের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে।
- ইন্টারনেটের অংশঃ ইন্টারনেট নিজেই একটি বৃহৎ WAN হিসেবে কাজ করে।
- হাই স্পিড যোগাযোগঃ ডাটা আদান-প্রদানের জন্য উচ্চগতির প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যেমন ফাইবার অপটিক কেবল বা স্যাটেলাইট।
- প্রযুক্তিঃ টেলিকমিউনিকেশন লাইন, লিজড লাইন, বা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (VPN) ব্যবহার করে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়।
WAN এর ব্যবহারঃ
- বিভিন্ন অফিস বা শাখার মধ্যে ডাটা শেয়ারিং।
- ব্যাংকিং, ই-কমার্স, এবং বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ডাটা সেন্টার সংযোগ।
- অনলাইন পরিষেবায় অ্যাক্সেস প্রদান।
- ইন্টারনেট
- একটি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার সংযুক্ত নেটওয়ার্ক
WAN (Wide Area Network)-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাঃ
WAN (Wide Area Network)-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা বা উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ-
1. বৃহৎ ভৌগোলিক এলাকা কভারেজ
WAN দূরবর্তী স্থান বা ভিন্ন ভৌগোলিক এলাকায় অবস্থিত অফিস, শাখা, বা ব্যক্তিদের মধ্যে সহজে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম।
2. কেন্দ্রীভূত ডেটা অ্যাক্সেস
ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে, WAN ব্যবহার করে এক জায়গায় রাখা ডেটা বিভিন্ন স্থান থেকে সহজেই অ্যাক্সেস করা যায়।
3. সহজ যোগাযোগ
WAN ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের মধ্যে দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত করে। ইমেইল, ভিডিও কনফারেন্সিং, বা চ্যাট প্ল্যাটফর্মে সহজেই যোগাযোগ সম্ভব।
4. ব্যবসার সম্প্রসারণ
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি বিভিন্ন শাখাকে সংযুক্ত করে এবং গ্লোবাল মার্কেট বা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি করে।
5. ফাইল শেয়ারিং
দ্রুতগতির ডেটা ট্রান্সফার সিস্টেমের মাধ্যমে বৃহৎ আকারের ফাইল বা ডেটা সহজে শেয়ার করা যায়।
6. কেন্দ্রীয় সিস্টেম ব্যবস্থাপনা
WAN একটি কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত নেটওয়ার্ক তৈরি করে যেখানে ব্যবহারকারীদের কার্যক্রম নজরদারি এবং সিস্টেম আপডেট সহজ হয়।
7. রিসোর্স শেয়ারিং
WAN একই নেটওয়ার্কে প্রিন্টার, সার্ভার বা স্টোরেজ শেয়ার করার সুবিধা দেয়, যা খরচ বাঁচাতে সাহায্য করে।
8. বিশ্বব্যাপী অ্যাক্সেস
WAN-এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে সংযোগ স্থাপন করা যায়।
এগুলো ছাড়াও WAN ব্যবসায়িক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং দূরবর্তী কাজ সহজ করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
WAN (Wide Area Network)-এর কিছু অসুবিধাঃ
WAN (Wide Area Network)-এর কিছু অসুবিধা বা সীমাবদ্ধতা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ-1. উচ্চ খরচ
WAN স্থাপন ও পরিচালনা করা তুলনামূলক ব্যয়বহুল। লিজড লাইন, স্যাটেলাইট সংযোগ, এবং উন্নত নেটওয়ার্ক সরঞ্জামের জন্য প্রচুর খরচ হয়।
2. জটিল স্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ
WAN স্থাপন এবং পরিচালনা করা অত্যন্ত জটিল। এটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রশিক্ষিত কর্মী এবং উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়।
3. নিরাপত্তা ঝুঁকি
WAN ব্যবহার করার সময় সাইবার হামলা, হ্যাকিং, এবং ডেটা চুরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উন্নত সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োজন।
4. ডেটা ট্রান্সফার ধীরগতি হতে পারে
বড় নেটওয়ার্ক এবং বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী থাকায় মাঝে মাঝে ডেটা ট্রান্সফারের গতি কমে যেতে পারে।
5. যন্ত্রপাতির সমস্যা
নেটওয়ার্কের কোনো একটি অংশে সমস্যা হলে পুরো সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
6. রক্ষণাবেক্ষণের সময় বেশি লাগে
WAN-এর নেটওয়ার্ক ডাউন হলে এটি মেরামত বা পুনঃস্থাপনের জন্য অনেক সময় লাগতে পারে।
7. কমপ্লেক্স কনফিগারেশন
WAN-এর বিভিন্ন অংশের কনফিগারেশন অনেক জটিল হয়, যা দক্ষ নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া করা কঠিন।
8. নির্ভরশীলতা
WAN ইন্টারনেট এবং টেলিকমিউনিকেশন পরিষেবার উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। যেকোনো ব্যাঘাত নেটওয়ার্ক কাজ বন্ধ করে দিতে পারে।
এই সীমাবদ্ধতাগুলো থাকা সত্ত্বেও WAN উন্নত প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করে অনেক সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম।
If you have any doubts, please let me know